পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের রসায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী শান্তা নাজনীন। ছোটবেলা থেকে শান্তশিষ্ট আদর আদর চেহারার মিষ্টি মেয়েটিকে সকলে ডাকে মৌটুসী বলে। ছোটবেলা থেকেই মন খারাপ হলে ডায়েরিতে লুকিয়ে লুকিয়ে অভিমান আর অভিযোগের কথা লিখতো মৌটুসী, সেসব কথা কেউ জানে না। ২০১৯-এ এসে টুকটাক কবিতা, গল্প লেখায় মন দিলো সে। সেসব লেখা প্রকাশ করতো নিজের ফেসবুক ওয়ালে। বন্ধুদের মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখালেখিতে মনোযোগী হয় সে। কিন্তু অধিকাংশ লেখাই জমে থাকে নোটে, কাউকে দেখাতেও সংকোচ লাগে।
প্রতিভা ছাইচাপা আগুন, লুকিয়ে রাখা যায় না। বেশিদিন চেপে রাখলে আগ্নেয়গিরির মতো লাভা বের হয়ে আসে। মৌটুসীর ক্ষেত্রেও তাই হলো। গত একবছরে পাঁচটি বইয়ে ছাপার অক্ষরে নাম এসেছে তার। যার মধ্যে একটি একক গল্প সংকলন। ‘নেশা লাগিল রে’ নামের এই গল্প সংকলনটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান নহলী। এছাড়াও ‘কথানক’, ‘শতশব্দের অনুরণন’, ‘নহলীয়ানা ২’, ‘একদিন মেঘ জমেছিল বৃষ্টি হবার লোভে’ নামের সংকলনগুলোতে তার গল্প প্রকাশিত হয়েছে। মার্ডার মিস্ট্রি, সামাজিক, পরাবাস্তব, রহস্য ঘরানার গল্প লিখতে ভালোবাসে মৌটুসী।
স্বল্প সময়ের পথচলায় এতগুলো বইতে জনপ্রিয় অনেক লেখকের সঙ্গে নিজের নাম দেখে যারপরনাই আনন্দিত শান্তা নাজনীন। লেখালেখি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে শান্তা জানান, ‘আমি হৃদয়ের তাগিদে লিখি। তবে এটাও সত্য আমি চাই আমার লেখা সময়কে ধারণ করুক। লেখার জগতে একদম নতুন, তাই সকলের ভালোবাসা ও পরামর্শে এগিয়ে যেতে চাই। হঠাৎ এসে হঠাৎ ফুরিয়ে যেতে চাই না।’
শান্ত লেখিকা শান্তা নাজনীনের হঠাৎ ফুরিয়ে যাবার প্রশ্নই ওঠে না। এরইমধ্যে তার লেখা একক গল্পগ্রন্থ ‘নেশা লাগিল রে’ অনেক পাঠকের সন্তুষ্টি অর্জন করেছে। বাংলা সাহিত্যে শান্তা নাজনীনের পথচলা দীর্ঘ হোক।