বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারী অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত প্রভাব রেখে গেছে সাধারণ মানুষের জীবন-যাপনে। শিল্প-অর্থনীতি মুষড়ে পড়েছে। কিন্তু প্রকাশনা শিল্পের মতো কোমড় বোধহয় আর কোনো সেক্টরের ভাঙেনি। দীর্ঘ দেড় বছরের করোনাকাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ যার কারণে মুখ্য পাঠকগোষ্ঠী ছাত্রদের বই সংগ্রহের অপারগতা, এর সাথে মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো যোগ হয়েছে ২০২১ বইমেলায় বাংলা একাডেমির অপেশাদার আচরণ। মেলাকে কেন্দ্র করে বড় রকমের বিনিয়োগ করেছিলেন প্রকাশকগণ, কিন্তু করোনার উর্দ্ধমুখী প্রভাব ও মেলার সময়জনিত জটিলতায় ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয় তাদের।
অর্থকষ্টে রয়েছে অনেক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান, বন্ধের দ্বারপ্রান্তে বেশ কিছু প্রকাশনা। এরই জ্বলন্ত উদাহরণ দিব্যপ্রকাশ-এর প্রকাশকের নিজস্ব একটি স্ট্যাটাস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভয়াবহ অর্থসংকটে দিব্যপ্রকাশ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন প্রকাশক মঈনুল আহসান সাবের। ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “ভয়াবহ অর্থসংকটে আছে দিব্যপ্রকাশ। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেলে অনেকের আনন্দের সীমা না থাকলেও, আমার দুঃখের সীমা থাকবে না।”
উল্লেখ্য ১৯৯৮ সালে প্রকাশনা জগতে বিচরণ শুরু করে দিব্যপ্রকাশ। প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস, কবিতা, শিশুতোষ বই, বিজ্ঞান, ইতিহাস, গবেষণামূলক বইসহ বিভিন্ন ধরনের বই প্রকাশ করে আসছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানটি।
[ বই-পুস্তক-প্রকাশনা এবং বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতের যে কোনো সংবাদ প্রকাশের জন্য আমাদের ই-মেইল করতে পারেন : desherboi@gmail.com ]