মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে ভাষাচিত্র বুক ক্লাব আয়োজন করেছিল বইপড়া প্রতিযোগিতা। আজ (শনিবার) বিকাল চারটায় ঢাকার নয়াপল্টনে ভাষাচিত্র কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ও প্রথম ভাষাচিত্র বইয়ের গল্প আড্ডা।
আয়োজন উপলক্ষে খুলনা, ফরিদপুর এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে পুরস্কার নিতে ভাষাচিত্র কার্যালয়ে এসেছিলেন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বই পড়ুয়া পাঠক। আয়োজন সম্পর্কে ভাষাচিত্রের প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক খন্দকার মনিরুল ইসলাম সোহেল বলেন, আমরা রিডিং সোসাইটির স্বপ্ন নিয়ে বইপড়া প্রতিযোগিতা শুরু করেছিলাম। করোনাকালে আমরা যখন সবাই ঘরবন্দি অবস্থায়, তখন মানুষকে বই পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে এই আয়োজন বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। দুই শতাধিক বইপড়ুয়া পাঠক অংশ নিয়েছিলেন আমাদের প্রতিযোগিতায়। এটি ছিল আমাদের জন্য একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। বই পড়ার এই ধারাবাহিক আয়োজনটি আমরা ভবিষ্যতেও চালু রাখতে চাই। প্রয়োজন বইপ্রেমী মানুষের সহযোগিতা।
খুলনা থেকে আগত অংশগ্রহণকারী পুরস্কার বিজয়ী পাঠক সাধনা সাহা বলেন, ভাষাচিত্রের আয়োজনে এতদূর এসেছি বইয়ের টানে। বই পড়ার মাধ্যমে জীবনকে উপভোগ করা যায়, নিঃসঙ্গতা কাটে। সবার প্রতি অনুরোধ বই পড়বেন। এটা একটা অন্তর্নিহিত টান। বই পড়ার জ্ঞান নিজের জীবনেই কাজে লাগে।
ভাষাচিত্র বুক ক্লাব গ্রুপের মডারেটর মুনীরা ফেরদৌসি বলেন, বই না পড়লে আমরা আগামী প্রজন্মকে মেধাবী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো না। সঠিক পথে ধাবিত করতে পারবো না।
রাজধানীর সকল গণপরিবহনে সৃজনশীল বই রাখার দাবি জানান ফরিদপুর থেকে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বইপ্রেমী পাঠক মুস্তাফিজুর রহমান জুয়েল। তিনি বলেন, নিজে সারাক্ষণ মোবাইলের স্কিনে চোখ রেখে সন্তানকে বই পড়তে বললে তারা কখনও পড়তে আগ্রহী হবে না। তাদেরকে বই পড়াতে চাইলে অভিভাবকেও বই পড়তে হবে।
অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে বই তুলে দেন ভাষাচিত্রের সম্পাদক ও প্রকাশক খন্দকার মনিরুল ইসলাম সোহেল।