অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এসেছে শিশুতোষ ছড়া ‘বিতং বনে বন বনিয়ে’। বৃহস্পতিবার দেওয়ান লালন আহমেদের লেখা বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বাংলা একাডেমির মঞ্চে মোড়ক উন্মোচন করেন আনন্দ আলো পত্রিকার সম্পাদক রেজানুর রহমান ও প্রকাশক সংস্থা ‘এক রঙ্গা এক ঘুড়ি’র কর্ণধার নীল সাধু।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জনপ্রিয় গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, কবি সঞ্জীব পুরোহিত, বিশিষ্ট কবি ও ছড়াকার নাসির আহমেদ কাবুল, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আলমগীর স্বপন, সৈয়দ তানভীর মোর্শেদ, জুন ৫ কমিউনিকেশনের কর্ণধার জিএম মুনতাসির হাসান সজীব, এভারেস্ট বিজয়ী মুসা ইব্রাহিম, অধ্যাপক লুতফর রহমান জয়, পুলিশ কর্মকর্তা হায়াতুল ইসলাম খান, মোহাম্মাদ ইলতুতমিশ, কাজী আশরাফুল আজিম, ইকোটেক’ র কর্ণধার জাহিদ চাকলাদার প্রমুখ।
‘বিতং বনে বন বনিয়ে’ বইটি ‘এক রঙ্গা এক ঘুড়ি’ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। প্রচ্ছদ করেছেন কাদিমুল ইসলাম যাদু।
গ্রন্থমেলায় এক রঙ্গা এক ঘুড়ি’র স্টল (৬৫৪) ছাড়াও দাঁড় কাক ও পুলিশের স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বইটি সম্পর্কে লেখক দেওয়ান লালন আহমেদ বলেন, ‘বেশ আগে থেকেই শিশুতোষ একটা কিছু করার তাড়না ভেতরে বোধ করছিলাম। অবশেষে বিতং বনে বন বনিয়ে বের করতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।’তিনি বলেন, ‘আমাদের শৈশবের ফেবলসগুলো, পশুপাখিদের গল্প দিয়ে নৈতিকতা শেখা, বুদ্ধিবৃত্তির মনন বিকশিত করার প্রয়াস ছিল বিশাল পাওয়া। কিন্তু, এই প্রজন্ম এসব পড়ছে না, শিখছেও না। নতুন প্রজন্মের জন্যই আমার এই ক্ষুদ্রপ্রয়াস।’
দেওয়ান লালন আহমেদ জানান, একালের শিশুদের আকৃষ্ট করতে তিনি বইটিতে ডোরেমন ও নবিতা, মটু আর পাতলু, বেনটেন ও গোয়েন নিয়ে ছড়ার সন্নিবেশ ঘটিয়েছেন।
এছাড়া ‘বিতং বনে বন বনিয়ে’ বইতে উপকথার গল্পগুলো- খরগোশ সজারু ও ধূর্ত শিয়াল, খরগোশ আর কচ্ছপ, সিংহ-শিয়াল ও বোকা গাধা, অহংকারী হাতি ও দুটি পাখি, ফোকলা দাঁত, পায়রা ও পিঁপড়া, খেকশিয়ালের বিয়ে, সিংহ-বাঘ-চিতা ও ধূর্ত শিয়াল, বুলবুল আর সারস পাখি, নৈশব্দ গুঞ্জন, হুররে হুয়া কি মজা, টাপুর টুপুর ছাগল ছানা, ঘাস ফড়িং, বন্ধুতা এক সুতা, লাল টুক টুক বউ, সাপ ও কাক, সোনালি ঈগল, কুচকাওয়াজ প্রভৃতি নিয়ে ছড়া রয়েছে।
লেখকের আশা, সোনামনিদের বইটি আনন্দ দেবে। সঙ্গে কোমলমতি মনে নৈতিকবোধ জাগিয়ে তুলবে।
#