॥ সাকিব চৌধুরী ॥
আমি সাকিব চৌধুরী। ২০০১ সালের প্রাকৃতিক লীলাভূমি কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং গ্রামে জন্মগ্রহণ করি। পরিবারে একমাত্র আদরের সন্তান। এসএসসি পাশ করি ২০১৭ সালে গ্রামের একটা স্কুল থেকে। এইচএসসি ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের সনামধন্য বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম কলেজ থেকে। বর্তমানে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত।
ছোটবেলা থেকে পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলার প্রতি আবেগ ছিল খুব বেশি। এছাড়া সময় পেলে বিভিন্ন ধরনের উপন্যাস, গল্পের বই পড়ার চেষ্টা করতাম। ক্লাসের ফার্স্ট বয় হওয়াতে স্যার এবং পরিবারের লোকজন একাডেমিক বই পড়ার প্রতি জোর দিতেন বেশি। তাই একাডেমিক বইয়ের বাইরে গিয়ে অন্য বই পড়ার সুযোগটা ছিল কম। তবে ইচ্ছেশক্তি ছিল প্রবল। তাই সুযোগ পেলেই যেখানে যার কাছ থেকে যা বই পেতাম তা ধার করে নিয়ে হলেও পড়ে ফেলতাম। ব্যাপারটা ছিল অনেকটা রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত ‘ঐকতান’ কবিতার, “যেথা পাই চিত্রময়ী বর্ণনার বাণী,/কুড়াইয়া আনি।/জ্ঞানের দীনতা এই আপন মনে,/পূরণ করিয়া লই যত পারি ভিক্ষালব্ধ ধনে”
লাইনগুলোর মতো।
তাই বলা চলে বাংলা সাহিত্যের প্রতি টান আমার ছোটবেলা থেকেই।
জীবনের এই সংক্ষিপ্ত সময়ে অনেক বই পড়েছি। তার মধ্যে কিছু বই আমার খুব মনে ধরেছে। বইগুলো হলো- আরিফ আজাদ-এর ‘বেলা ফুরাবার আগে’, সমরেশ মজুমদারের ’সাতকাহন’, হুমায়ূন আহমেদের ‘জোছনা ও জননীর গল্প’, ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’। আর প্রিয় লেখক যদি বলি তাহলে সবার আগে আমি হুমায়ূন আহমেদের নামই বলবো। তার রোমান্টিক কথাবার্তা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। অবশ্যই এই বয়সে হুমায়ূন আহমেদের রোমান্টিক কথাবার্তা ভালো লাগাটা দোষের কিছু নয়।
আমার মতে আমার মতো ৮০% তরুণ হয়তো উনাকে প্রিয় লেখক বলতে দ্বিধাবোধ করবেন না।
জীবনে অনেক স্বপ্ন আছে বই বা লেখালেখি নিয়ে। হয়তো সেটা বলতে গেলে এমন হবে- আমার একটা আলাদা ঘর থাকবে যে ঘরের আনাচে-কানাচে, ডানে-বামে সবখানে থাকবে আমার পঠিত বইগুলো। আর সাথে থাকবে আমার লেখা, লেখক সাকিব চৌধুরী নামের কয়েকটা বই। তবে সে স্বপ্নপূরণ হয় কি না জানি না। কারণ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো সবসময় বিখ্যাত লেখকদের পেছনে ছোটেন। তাঁরা কখনো নতুন লেখকদের সুযোগ দিয়ে পুরাতন করে বিখ্যাত হওয়ার সুযোগ করে দিতে রাজি নন।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের খোঁজ নিতে গিয়ে হঠাৎ একদিন চোখে পড়ে, “ভাষাচিত্র” প্রকাশনীর নাম। যেখানে আছেন, অন্যরকম এক মানুষ যে কি না বলেন, “আমরা বড়ো লেখকের বই প্রকাশ করি না আমরা লেখকের বই প্রকাশ করি।”
উনার এই কথাটা শোনার পর আমার নিজের মধ্যে সাহস এসেছে, মনের গহীনে নতুন স্বপ্ন বুনন হয়েছে।
তিনি আর কেউ নন। তিনি হলেন ভাষাচিত্রের শ্রদ্ধেয় প্রকাশক খন্দকার সোহেল ভাই। তিনি আমার চোখে শুধু একজন ভালো প্রকাশক নন, একজন ভালো মানুষও বটে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বইমেলায় আমার একটা কবিতার বই (যৌথ) বের হবে। আর ইচ্ছে আছে একটা একক উপন্যাস বের করার আর সেটা যেন ভাষাচিত্রের প্রকাশক, খন্দকার সোহেল ভাইয়ের হাত ধরেই হয়। সোহেল ভাইয়ের হাত ধরে যেন এগিয়ে যেত পারি বহুদূর,
পাড়ি দিতে পারি যেন মহাসাগর সমদ্দুর।