‘প্রতিদিনের কবিতা’ দেশের বই-এর নতুন আয়োজন। এই আয়োজনে প্রতিদিন তরুণ কবিদের একগুচ্ছ কবিতা প্রকাশ করা হয়। আজ প্রকাশিত হলো জুবায়ের দুখু’র কবিতা
মৃত্যু মিলন
পাশাপাশি দুটি কবর
তুমি ও এক অচেনা ব্যক্তির।
তুমি ভাবছো—
এখানে এই কবরটি তোমার প্রেমিকের হলে
মৃত্যু মিলন হতো আবারও দুজন।
আয়না জল
সবুজের উপর লেপটে আছে
বর্ষার উটকো জল
বক উড়ছে— শাদা শাদা বক
পেখম মেলে উড়ছে
সে দৃশ্য— জলে করে টলমল।
ভাবনা
সকালের শিশির—
ঘাসে শুয়েও ছুঁয়ে দেয় মন
দুপুরের খাঁ খাঁ রোদ—
উপচে পড়ছে শরীরের উপর
রাতের ঘুটঘুট অন্ধকার—
কাম এবং ঘুম ঘোরে আচ্ছন্ন।
ভাবছি মানুষ না থাকলে—
সকাল, দুপুর, রাত— কার অনুভূতি পেতো?
আবদার
মৃত্যুর পর আবার বেঁচে উঠবো
তারপর ঘর বাধবো কার সঙ্গে?
কার সঙ্গমে যাব ছুটে?
ঈশ্বর— আমার প্রশ্নটা খুব ছোট
আমার মৃত্যু দিনে, প্রেমিকার মৃত্যু হোক।
এবং পাশাপাশি দুটি কবর…
কাল্পনিক কৌশল
টিভির বক্ষ ছিঁড়ে বেরিয়ে এলো
একটা আস্ত অজগর
তুমি দেখলে— এবং ভয় পেলে সম্ভবত!
ভাবছি— সাপটি যদি আমি হতাম,
তুমি কোথায় যেতে?
ঘরদোর ফেলে, এই মাগরিবের ওয়াক্তে?
ঘাসফড়িং
ঘাসফড়িং নাচে দেখ…
বন-বনানী সবুজ ভূমির উপর।
তার উপর আকাশ।
বাতাসে সাইরেন বাজছে, দেখ…
নিষিদ্ধ গোলাপের সুবাস!
ঘাসফড়িং তুমি কোথায় যাবে?
ঘাসফুলে না নিষিদ্ধ গোলাপ বাগানে?
তুমাগো বাড়ি
একটা রাস্তা ধরে হাটা ধরলে
বেরিয়ে আসে সাপের মতো আরেকটা রাস্তা।
পাবনার শহর- অপরিচিত স্থান
তুমাগো বাড়ি কোন রোডে— বলে দাও,
আরেকটা রাস্তা কামড়ানোর আগেই।